ভূমিকা
ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র হচ্ছেন নবীপত্নী হযরত আয়িশা। আয়িশার বাল্যবিবাহ এবং সংসারের শুরু কত বছর বয়সে হয়েছিল সেই বিষয়ে আলোচনার সময়ে ইদানিংকালে এক ধরণের বিব্রত চেহারার মুসলিমদের দেখতে পাওয়া যায়, যারা নানান কৌশলে ইসলাম ধর্মে শিশুবিবাহের বিষয়টিকে ধামাচাপা, নয়তো তা সম্পর্কে মনগড়া কথা বলার চেষ্টা করেন। তারা প্রায়শই বলবার চেষ্টা করেন যে, ইসলামে শিশুবিবাহ থাকলেও যৌনকর্মের জন্য নারী শিশুটির প্রাপ্তবয়ষ্ক বা সাবালিকা হওয়া জরুরি! এই বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্য তারা বলেন, হযরত আয়িশা ৯ বছর বয়সেই বয়ঃসন্ধিকালে পৌছে গিয়েছিলেন, কারণ সেই সময়ে নাকি অল্পবয়সেই মেয়েরা বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছে যেতো। যা একেবারেই ভিত্তিহীন কথা। ইসলামে শিশু মেয়েদের বিবাহের নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা নেই, এবং মেয়েটির সাথে অপ্রাপ্তবয়ষ্ক অবস্থায় এমনকি বয়ঃসন্ধিকালে না পৌঁছালেও যৌনকর্মে কোন বাধা নেই।সেই বিষয়টি নিয়েই এই লেখাটিতে আলোচনা করবো।
প্রাপ্তবয়ষ্ক কাকে বলে?
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় যে, বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানো এবং প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়া ভিন্ন বিষয়। বয়ঃসন্ধি হচ্ছে প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ার একটি ধাপ, যা আসলে প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়া বোঝায় না। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানো মানেই ধরে নেয়া হয় সাবালিকা বা প্রাপ্তবয়ষ্ক হয়ে যাওয়া। যদিও আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধ্যান ধারণা অনুসারে কথাটি সত্য নয়। বয়ঃসন্ধি হচ্ছে প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ার লক্ষণের সুচনা। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হচ্ছেন একজন মানুষ যার তুলনামূলকভাবে পরিণত বয়স হয়েছে যা যৌন পরিপক্কতা ও পুনরূপাৎদনের ক্ষমতা অর্জনের সাথে জড়িত। একজন নারী বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছালেই সে সন্তান জন্ম দেয়ার পরিপক্কতা অর্জন করে না। বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছাবার পরে তার শরীর সন্তান জন্মদানের উপযুক্ত হতে সবে শুরু করে। এই প্রক্রিয়া কারো কারো ক্ষেত্রে ৩ আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ৫ বছরে পূর্ণতা পায়। কিন্তু ইসলামে মেয়েদের সাথে যৌনকাজের জন্য বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানোও জরুরি কিছু নয়। সেই বিষয়েই এই লেখাটি।
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭
সংজ্ঞা
(১) “অপ্রাপ্ত বয়স্ক” অর্থ বিবাহের ক্ষেত্রে ২১ (একুশ) বৎসর পূর্ণ করেন নাই এমন কোনো পুরুষ এবং ১৮ (আঠারো) বৎসর পূর্ণ করেন নাই এমন কোনো নারী;
(২) “অভিভাবক” অর্থ Guardians and Wards Act, 1890 (Act No. VIII of 1890) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির ভরণ-পোষণ বহনকারী ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৩) “প্রাপ্ত বয়স্ক” অর্থ বিবাহের ক্ষেত্রে ২১ (একুশ) বৎসর পূর্ণ করিয়াছেন এমন কোনো পুরুষ এবং ১৮ (আঠারো) বৎসর পূর্ণ করিয়াছেন এমন কোনো নারী;(৪) “বাল্যবিবাহ” অর্থ এইরূপ বিবাহ যাহার কোন এক পক্ষ বা উভয় পক্ষ অপ্রাপ্ত বয়স্ক;
বাল্যবিবাহ করিবার শাস্তি
১) প্রাপ্ত বয়স্ক কোন নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
(২) অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করিলে তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের আটকাদেশ বা অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের শাস্তিযোগ্য হইবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৮ এর অধীন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বা দণ্ড প্রদান করা হইলে উক্তরূপ অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী বা পুরুষকে শাস্তি প্রদান করা যাইবে না।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন বিচার ও শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শিশু আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৪ নং আইন) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট পিতা-মাতাসহ অন্যান্য ব্যক্তির শাস্তি
বাল্যবিবাহ মেয়েদের জন্য ‘মৃত্যুদণ্ড’
তাই, বাল্যবিবাহ এবং শিশু বয়সেই নিয়মিত যৌন সম্পর্ক একটি শিশু মেয়ের পরবর্তী জীবনকে শুধু ধ্বংসই করে না, একটি পুরো প্রজন্মকেও ধ্বংস করে। একটি ৫-৬ বছরের মেয়ের জীবন হবে সুন্দর, রঙিন। সে হাসবে, খেলবে, পড়ালেখা করবে। সে মাঠে ময়দানে দৌঁড়াবে, সাঁতার কাটবে, লাফাবে ঝাঁপাবে। ধীরে ধীরে তার শরীর গঠিত হতে থাকবে। সে পুষ্টিকর খাবার খাবে, তার শরীরের হাড়গুলো ধীরে ধীরে শক্ত হতে থাকবে। ৯-১০ বছর বয়সেই তার শরীরে নানা ধরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। এবং এই পরিবর্তন ঘটবে ধীরে ধীরে। একটা সময়ে সে খুব দ্রুত লম্বা হতে থাকবে। এরপরে একটা সময় মস্তিষ্ক বুঝতে পারবে, শরীরের হাড়গুলো ঠিকমত গঠিত হয়ে গেছে। এরপরে তার লম্বা হওয়ার হার কমতে থাকবে, এবং তার চেহারায় নারীসূলভ অভিব্যক্তি প্রকাশিত হতে থাকবে। এই পুরো প্রক্রিয়া চলতে থাকবে ১৮-১৯ বছর পর্যন্ত। যতদিন সে লম্বা হতেই থাকবে। সেই সময়ে তার শরীর নতুন হরমোনগুলোর সাথে ধীরে ধীরে এডোপ্ট করবে, এবং তার কিছুটা আগেই সে যৌনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, এই বয়সেই যেন সে সন্তান ধারণ না করে। গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত সময়ও এটি নয়। তা আরো পরে। [7]
সুন্নতী বাল্যবিবাহের পক্ষে আন্দোলন
বহুবছর ধরেই বাংলাদেশের ইসলামিস্টগণ বাল্যবিবাহের পক্ষে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের স্লোগানে তারা দাবী করছে, যেহেতু এটি নবীর সুন্নত, তাই একে নিষিদ্ধ করা যাবে না। মুমিন ভাইদের নাকি অধিকার রয়েছে, বাল্যবিবাহ করার এবং তাদের মেয়ে বাচ্চাদের বিয়ে দেয়ার। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ওলামা লীগ এই নিয়ে অনেকদিন ধরেই মাঠ গরম করছে। তাদের দাবী হচ্ছে, সুন্নতী বাল্যবিবাহকে আইনগত বৈধতা দিতে হবে, যেন তারা অবাধে পেডোফিলিয়ার চর্চা চালিয়ে যেতে পারে! [8]
সেইসাথে আরো বিব্রতকর খবর হচ্ছে, সৌদি আরবে বাচ্চা মেয়েদেরও বোরখা পড়তে সৌদি ইসলামিক স্কলারগণ নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, বাচ্চা মেয়েদের দেখলেও তাদের নাকি যৌন উত্তেজনা হয়! [9] [10]
বিবাহ ও সহবাসের সময় আয়িশার বয়স
বিভিন্ন সহীহ হাদীসের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে মুহাম্মাদের সাথে আয়িশার বিবাহের সময় আয়িশার বয়স ছিল ছয় বছর এবং যখন আয়িশার বয়স নয় বছর। নয় বছর বয়সেই তিনি মুহাম্মাদের সাথে যৌনসঙ্গম করেন [11]
হিশাম এর পিতা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদিনার দিকে বের হওয়ার তিন বছর আগে খাদীজাহ (রাঃ)-এর মৃত্যু হয়। তারপর দু’বছর অথবা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত করে তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বিবাহ করেন। যখন তিনি ছিলেন ছয় বছরের বালিকা। তারপর নয় বছর বয়সে বাসর উৎযাপন করেন।Narrated Hisham’s father: Khadija died three years before the Prophet (ﷺ) departed to Medina. He stayed there for two years or so and then he married Aisha when she was a girl of six years of age and he consumed that marriage when she was nine years old. সহীহ বুখারী (তাওহীদ) ৩৮৯৬
সুনান আবু দাউদ শরীফে আরো পরিষ্কারভাবেই বলা আছে যে, মদিনায় আসার পরেই নবীর সাথে তার সহবাস হয়।
সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৬/ আদব
পরিচ্ছেদঃ ৬১. দোলনায় চড়া সম্পর্কে।
৪৮৫১. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) …. আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা যখন মদীনায় আসি, তখন আমার কাছে কয়েকজন মহিলা আসে, আর সে সময় আমি দোলনায় দোল খাচ্ছিলাম। এ সময় আমার মাথার চুল ছোট ছিল। তারা আমাকে নিয়ে গিয়ে সুন্দররূপে সুসজ্জিত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে আসে। এ সময় তিনি আমার সাথে সহবাস করেন, আর তখন আমার বয়স ছিল নয় বছর।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)
সূনান নাসাঈ শরীফে বলা হয়েছে,
সূনান নাসাঈ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৬/ নিকাহ (বিবাহ)
পরিচ্ছেদঃ ৭৮. নয় বছর বয়সে স্বামীসঙ্গ
৩৩৮১. মুহাম্মদ ইবন আদম (রহঃ) … আয়েশা (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ছয় বৎসর বয়সে বিবাহ করেন এবং আমার সঙ্গলাভ করেন নয় বৎসর বয়সে, তখন আমি মেয়েদের সাথে খেলাধূলা করতাম।
তাহক্বীকঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)
উল্লেখ্য, বাসর উদযাপন বলতে যৌনকর্মের মাধ্যমে বিবাহকে কনজ্যুমেট করা বোঝানো হয়েছে।
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ১০. পিতা অপ্রাপ্ত বয়স্কা কুমারী কন্যার বিবাহ দিতে পারে
৩৩৭০-(৬৯/১৪২২) আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু ‘আলা ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহু (রহিমাছমাল্লাহ) … আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিয়ে করেছেন, আমার বয়স তখন ছয় বছর। তিনি আমাকে নিয়ে বাসর ঘরে যান, তখন আমার বয়স নয় বছর। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, আমরা হিজরাত করে মাদীনায় পৌছার পর আমি একমাস যাবৎ জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম এবং আমার মাথার চুল পড়ে গিয়ে কানের কাছে (কিছু) থাকে। (আমার মা) উম্মু রূমান আমার নিকট এলেন, আমি তখন একটি দোলনার উপরে ছিলাম এবং আমার কাছে আমার খেলার সাখীরাও ছিল। তিনি আমাকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকলেন, আমি তার নিকট গেলাম।
আমি বুঝতে পারিনি যে, তিনি আমাকে নিয়ে কী করবেন। তিনি আমার হাত ধরে আমাকে দরজায় নিয়ে দাঁড় করালেন। আমি তখন বলছিলাম, আহ, আহ। অবশেষে আমার উদ্বেগ দূরীভূত হল। তিনি আমাকে একটি ঘরে নিয়ে গেলেন। সেখানে আনসার মহিলাগণ উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলে আমার কল্যাণ ও রহমাতের জন্য দুআ করলেন এবং আমার সৌভাগ্য কামনা করলেন। তিনি (মা) আমাকে তাদের নিকট সমর্পণ করলেন। তারা আমার মাথা ধুয়ে দিলেন এবং আমাকে সুসজ্জিত করলেন। আমি কোন কিছুতে ভীত শংকিত হইনি। চাশতের সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন এবং তারা আমাকে তার নিকট সমর্পণ করলেন।
(ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)
উপরের হাদিসটি আরো কয়েকজন বর্ণনাকারীর কাছ থেকে জেনে নেই,
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)১৭। বিবাহপরিচ্ছেদঃ ১০. পিতা অপ্রাপ্ত বয়স্কা কুমারী কন্যার বিবাহ দিতে পারে৩৩৭১-(৭০/…) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইবনু নুমায়র (রহিমাহুমাল্লাহ) ….. আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ছয় বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিবাহ করেন এবং আমার নয় বছর বয়সে তিনি আমার সঙ্গে বাসর যাপন করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৫, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৪)হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৭। বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ১০. পিতা অপ্রাপ্ত বয়স্কা কুমারী কন্যার বিবাহ দিতে পারে
৩৩৭২-(৭১/…) আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ….. আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তার সাত বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন। তাকে নয় বছর* বয়সে তার ঘরে বধুবেশে নেয়া হয় এবং তার সঙ্গে তার খেলার পুতুলগুলোও ছিল। তাঁর আঠারো বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৫)
* তিনি বলেন যে, তার ছয় বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোন হাদীসে ‘আয়িশাহ্ (রাযিঃ)-এর বিবাহ হওয়ার ছয় বছর আবার কোন হাদীসে সাত বছর বর্ণিত হয়েছে। হাদীসের ব্যাখ্যাকারদের মতে, ঐ সময় আয়িশাহ (রাযিঃ)-এর বয়স ছয় পার হয়ে সাত বছর চলছিল। ফলে কোন হাদীসে ছয় বছরের উপর অতিরিক্ত সময় বাদ দিয়ে ছয় বছর গণনা করা হয়েছে, আবার কোন হাদীসে অতিরিক্ত সময়কে পূর্ণ বছর ধরে সাত বছর গণনা করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৭। বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ১০. পিতা অপ্রাপ্ত বয়স্কা কুমারী কন্যার বিবাহ দিতে পারে
৩৩৭৩-(৭২/…) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও আবূ কুরায়ব (রহিমাহুমুল্লাহ) … আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, তার ছয় বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন, তার নয় বছর বয়সে তিনি তাকে নিয়ে বাসর যাপন করেন এবং আঠারো বছর বয়সে তিনি ইন্তিকাল করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)
তথ্যসূত্রঃ
- সংজ্ঞা
- বাল্যবিবাহ করিবার শাস্তি
- বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট পিতা-মাতাসহ অন্যান্য ব্যক্তির শাস্তি
- Child Marriage is a Death Sentence for Many Young Girls
- Precocious puberty
- Health Consequences of Child Marriage in Africa
- ইউনিসেফ থেকে প্রকাশিত একটি পিডিএফ বই
- বাল্যবিবাহ নিরোধ নামক কুফরি আইন প্রত্যাহার করে…এসব এনজিও নিষিদ্ধ করতে হবে
- Saudi Arabian cleric declares babies should wear burkas
- Even BABIES must wear the burka : Saudi cleric says newborn girls should have their faces veiled to help ward off sex attacks
- সহীহ বুখারী (তাওহীদ), হাদিস নম্বরঃ ৩৮৯৬
4 Comments
তরে পাইলে কুপিয়ে হত্যা করতাম
ReplyDeleteনটির পোলা জারজ তোর প্রত্যেকটা কথার জবাব আমিই দিতে পারবো
ReplyDeleteতোর শয়তানের শুক্রাণু ও কুত্তির ডিম্বাশয় থেকে জন্ম হয়েছে
ভালো লিখেছেন। সাংস্কৃতিক আবর্জনা পরিষ্কার করবার লক্ষ্যে এধরণের লেখা চালিয়ে যাওয়া উচিত। ধন্যবাদ।
ReplyDeleteইসলাম ধর্ম গ্রহন কর নাইলে তর নাড়িভুড়ি টেনে ফেলবো নাস্তিকের বাচ্চা
ReplyDelete