গ্রাফিক্স ব্যাচ-৬ তার সাথে মিল রেখে হয়তো আমার রোল টা দিয়েছেন ৬ আমার ডান বাম পাশে দুজনই গুণিজন তাই সাহায্যের দিক দিয়ে আমার তেমন একটা প্রয়োজন লাগেনা। ১ নং কম্পিউটারে বসে আছেন Munna Paul আমাদের প্রশংসার জগতের একজন রাজা ওনার প্রশংসার ধরণ খুবিই চমৎকার। তার পাশে শেষ্টতম আর ও একজন ডিজাইনার Shima Yasmin ওনার ডিজাইনের প্রভাত আমাদেরকে সক্রিয় করে। পরের ৩নং কম্পিউটারের বসা Nishat Anjum Rima ম্যাডাম তো Photoshop & Illustrator তার একচমকেই আয়তে নিয়ে আসেন। আর ইদানীং আমাদের সেই Sohid ভাই অনার দুর্দান্ত পারফর্ম তো করেই যাচ্ছেন। ওনার ডিজাইন দেখে পাশে এসে বসেন Ashraful আর তার সাথে Utthom ওনাদের ডিজাইন টা ঝটপট শেষ করে ফেলেন। দক্ষ হিসেবে তাদের গুণাগুণ অসাধারণ। হঠাৎ করে শুরু হয় প্রথম সারির গল্প আড্ডার উল্লাস। আড্ডা দেখে কার ই না যুক্ত হতে ইচ্ছা করে তাই পিছন থেকে চলে আসেন Bappy, Ajoy, Nikhil, Sumon, Sahed, Ahsanul, Zahid, Asif, Taher, Miton, Nurul, Rupa, Liza, Prova, Jahed, Nahid আর আমাদের পাগলা Maruf ভাই আরও অনেকেই জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার পর নিজ নিজ গ্রন্থব্য স্থানে চলে যান। ক্লাসের শুরুতে আমি বাংলা টাইপিং করতে পারতাম না তখন অজয় ভাই আমাকে বলেদিত। আমি শুধু বলতাম ভ কোথায় ট কোথায় ঠাস ঠাস করে বলেদিত। আমার মনোনিবেশ থাকবে ওইগুলোর কথা আমার জন্য খাতায় বর্ণমালা গুলো লিখেও এনেছেন। এমন মহত মানুষের কথা তো মনে থাকারই কথা।
আমাদের গ্রাফিক্স ব্যাচ-৬ এর ঝমঝমাট গল্পগুচ্ছ আড্ডাবাজির এক একটা স্থিতি মনের হৃদয়ে ঠুকে রাখছে হৃদয়ের পংখীতে। আড্ডার জগতে এই গল্পজল্পের ভাবকাঠি টা একটু অদ্ভুত কারণ এখন প্রযুক্তিনির্ভর আড্ডার জগত ইন্টারনেটের বদৌলতে বাঙালির আড্ডায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আজকাল ইন্টারনেটে প্রচুর আড্ডা হচ্ছে। বাঙালির আড্ডার অনেক ওয়েব সাইট। কারও উৎসাহ থাকলে ওইসব সাইটে গিয়ে যখন তখন আড্ডা জমায়। যেমন- 'আড্ডাবাজের বাংলা ব্লগ','দেশি আড্ডা', 'বেঙ্গলি আড্ডা', 'বাংলা আড্ডা পেপেরোনিটি', 'আমাদের আড্ডা', 'বাংলা গল্প বাংলা আড্ডা', 'বাংলা আড্ডা ঘর', 'বাংলা আড্ডা', আরও কত কিছু! ইদানীং প্রযুক্তিনির্ভর আড্ডা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরা তার থেকে একটু ব্যতিক্রম আমরা কফিহাউজের ব্যাজ পড়া গল্পবাজ সবাই ডিজাইনার এর পাল্লাযুক্ত হবার চেষ্টা করেই যাচ্ছেন। জীবনকে পরিবর্তন করার জন্য ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সবাই গড়ে তুলতাছেন নিজেকে। তার পাশাপাশি তৈরি হয় আমাদের মধ্যে এক গবির প্রণয়লীলার বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব, শুধু তিনটি অক্ষর নয়। যার মধ্যে লুকিয়ে আছে আরও অনেক কিছু। বন্ধু শব্দটি উচ্চারণ করার মধ্যেই এক ধরনের স্বস্তিবোধ কাজ করে। প্রাণ ফিরে পাওয়া যায়। বিষণ্ন মনকে আন্দোলিত করে তোলে। যেখানে কোনো বয়স কিংবা সময়ের বেড়াজালে আটকে থাকার কোনো বাধা নেই। যার মধ্যে হাজারও বিশ্লেষন থাকলেও এর কোনো শেষ নেই। সময়ের গতির ছকেও একে আটকে রাখা দায়। জীবনে চলার পথে শুধু এই বন্ধুত্ব শব্দটার তুলনা আর কিছু সঙ্গেই হয় না। ছায়াবিথীর মতো যেন সর্বদাই পাশে থাকে। আর হয়তো একসাথে গল্প বলা হবে না তাই সবার প্রতি ভালবাসার আবাস প্রকাশ করছি। আড্ডার কথা বলতে বলতে চরম আড্ডাবাজিদের কথা মনে পড়ে গেল অনেক আগে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে অনেক উন্নতমানের আড্ডা হতো গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে। সেখানে আড্ডার আখড়া ছিল জিমনেসিয়ামে। সে যুগে এথেন্সবাসী একই জায়গায় শরীর ও মনের এক্সারসাইজ করত। ওই সব আড্ডায় আসর জমাতেন সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যালচিবায়ডেসের মতো গুণীজন। তাদের আড্ডা থেকে সৃষ্টি হতো অনেক উন্নতমানের শিল্প-সাহিত্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের তত্ত্বকথা।
0 Comments