এক বিশিষ্ট লিখিকার প্রেমে পড়ার গল্প

আমি এক লেখিকার প্রেমে পড়ছিলাম। তিনি একজন অসাধারণ বক্ত। দিরগ্য সময় তাঁর কন্ঠ শুধু হৃদয় স্পর্শই করে না বরং মস্তিষ্কে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করে। বলা যায় গুছিয়ে কথা বলার এক অদ্ভুত আবিষ্কারক। আমাকে অনার অদ্ভুদ কলাম গুলোই প্রেমে ফেলেছে। ব্লগ জগতে আমি অনার খুব প্রশংসা করতাম। তিনি আমার আর্টিকেল গুলি পড়েন। তারপর আমাকে অন্যভাবে উপস্থাপনের পরামর্শ দেন। অনার তীব্র ভালবাসা যেন আমার জন্য অফুরন্ত প্রদীপ। মাঝে মাঝে তিনি আমার ব্লগিং গুলির সমালোচনা করতেন। একবার আমি অনার কলামের সমালোচনা করছিলাম। আমার সমালোচনা দেখে তিনি খিল খিল করে হেসে উঠেন। আমার ভঙ্গি কী-রকম হওয়া উচিত তা আমি বুঝতে পারি না। আমি ভ্যাবলার মতোন তাঁর মুক্তোভরা চোখের মণির দিকে তাকিয়ে থাকি। মনে হয়, তাঁর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। কিন্তু না, তাঁর চোখের মণির রঙটি আমার জানা নেই। তাঁর ঝর্ণার মতোন ঝরে পড়া হাসির শব্দে শিহরিত হই। মনে করছিলাম আমার এই সমালোচনা হেবলামু। ঠিক তখনই তিনি আমার বিশিষ্ট  চুল ধরে টানা হেঁচড়া করতে থাকেন। তখনই একটা কথা আমি বলি "ইস তুমি আরও পনেরো বছর পর জন্ম নিলে কতোই না ভালো হতো" কথাটা বলার পর পরই আমার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি মুচকি ভাব নিয়ে চকটা বড় বড় করে তাকিয়ে একটু রোমাঞ্চকর ভাবে খিল খিল করে হাসি শুরু হয়। তখন আমার চুলের ১২টা বাজে। চৈত্রের খর তাপে যেমন মাঠ গুলো ফাটা দেয় তেমনি আমার চুলের পার্টিশন হয়। আমি উফ আহ করতে থাকি। তবে এটা যে করে লাভ হবেনা তা আমি জানি, এবার ছাড়া পাওয়াটা আমার জন্য কঠিন ব্যাপার ম্যাডাম এখন আমার কথা শুনবেন না, তিনি আমার বিশিষ্ট চুল টানা টানির প্রতিযোগিতায় এখন আছেন।

এক বিশিষ্ট লিখিকার প্রেমে পড়ার গল্প, বেজা শহর,beja,shohor, Atheist, Atheism, Secularist, Beja Shohor Blog, Beja Shohor, Rayhan ahmed, Blogger rayhan

রাত যতো গভীর হয়, আমাদের সৃষ্টিশীলতা শিল্পে পরিণত হতে থাকে। আমরা ধীরে ধীরে আমাদের হৃদপিণ্ডের শৈল্পিক গুঞ্জন শুনতে পাই। আমাদের শরীর দিয়ে বৃষ্টি পড়তে থাকে।এবং আমরা সেই বৃষ্টিতে ভিজতে থাকি। ঝড় শুরু হওয়ার পূর্বে মুঠোফোন চিৎকার করে উঠে। তিনি অপলক দৃষ্টিতে মুঠোফোনের দিকে তাকিয়ে থাকেন। আমি তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ভাঁজ পড়া নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হতে থাকি। তিনি আমাকে কিছু একটা বলতে চান কিন্তু কেনো জানি বলেন না। তিনি আমার দিকে রোমাঞ্চকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। তাঁর ঠোঁট দিয়ে ঝরে পড়ছিল কামের উপন্যাস। হঠাৎ করেই তিনি উঠে দাঁড়ান। আমি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি আমাদের সামনে একজন পুরুষ দাঁড়িয়ে আছেন। আমি কিছুটা ভীতবোধ করি। মনে মনে প্রশ্ন করতে থাকি, কখন এলো এই লোকটি? আমি টের পেলাম না কেনো? এই লোকটি এই সময়ে এখানে কেনো? আর এই লোককে দেখে লেখিকা স্টাপনকুটে দাঁড়িয়ে গেলো কেনো?

আমার বুক কাঁপতে থাকে। আমি দেখতে পাই, সেই বিশালাকৃতির লোকটাকে জড়িয়ে ধরেছে লেখিকা। লোকটির পাশে লেখিকাকে খুব ছোট্ট খাটো লাগছিলো। আমি নিজেকে প্রশ্ন করতে থাকি, আমি কি হিংসা করছি? লোকটি চলে যায়। লেখিকা আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। আমি তাঁর দিকে তাকাই। তাঁকে দেখে আমার অনেক সুখী মনে হয়। আমি উঠে দাড়াই। আমাকে জড়িয়ে ধরে প্রকৃতিবিজ্ঞানী। আমি শান্তি পাই কিন্তু আমার বুক কাঁপতে থাকে। লেখিকা আমাকে আলতোভাবে সঙঘৃষ্ট করে বলতে থাকেন, আমার অসমাপ্ত উপন্যাসটির শেষ চরিত্রটি হচ্ছো তুমি।

Post a Comment

0 Comments