রক্তে কেনা বাংলা মায়ের গৌরব আজ স্বদেশীদের কাছে আনেকটা অবহেলিত। আমারা স্বাধীনতা পেয়েছি সেই ৪৭ বছর আগে কিন্তু আমরা এখন ও পরাধীন। কারন আমরা এখন ও আমাদের বুদ্ধিমক্তা, দৃষ্টিভঙ্গির, পরির্বতন ঘঠাতে পারিনি বলে। দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল কী আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের পতাকা টাঙ্গানোর জন্য। আমাদের ক্রিকেট টিম যখন বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করে তখন পৃথিবী কোন দেশ আমাদের পতাকা টাঙ্গায়, পৃথিবীর কথা বাদদিলাম আমরা নিজেরা তা করিনা, আজ শহরের ফুতপাতে ধরে দোকানপাট গুলো ব্যাস্ত, চারিদিকে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের পতাকার মিছিল। শহর হতে নগর, পাড়া হতে মহল্লা, গ্রাম হতে গঞ্জ, অলি থেকে গলি পর্যন্ত চোখ বুলালেই দেখতে পাওয়া যায় আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের পতাকার মিছিল। হায় মানবতা আজ আমরা বিক্রিয় করে দিয়েছি, তোমায় ভুলে গেছি তোমার কথা। সেদিন সাত কোটি বাঙালী ধ্বংসস্তুপ থেকে যদি সাত কোটি ফুল হয়ে না ফুটত তাহলে আমরা এই স্বাধীন বাংলা পেতামনা, পেতামনা লাল সবুজের পতাকা। কিন্তু আমরা সেই লাল সবুজরে সঠিক মূল্যায়ন দিতে পারছিনা। আজ আমরা লজ্জিত সেই মহান পুরুষেদের কাছে। যারা রক্তদিয়ে লাল সবুজ দিয়েছিল। আমরা প্রতিনিয়ত সেই লাল সবুজের প্রতি, স্বাধীন বাংলার প্রতি মূর্খতার পরিচয় দিয়ে আসছি। আমরা মূর্খ সেটি তো রবীন্দ্রনাথই বলেছিলেন সেই ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান কালে, তিনি সেদিন বলেছিলেন মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়, আমরা মূর্খ বলেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পালন করি রবীন্দ্র উৎসব, পালন করি তার জন্ম মৃত্যু তারিখ, অথচ নবাব স্যার সলিমুল্লা যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় ৬০০ একর ভূমি দান করেছিলেন তার কোন চিহ্নই পাওয়া যায় না। আমরা এক অদ্ভুদ মুর্খ জাতি।
0 Comments